আপনি যদি আমার এই ব্লগের দীর্ঘদিনের পাঠক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার হয়ত মনে আছে, ২০১৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা বেশ আত্নবিশ্বাসের সাথে প্রচার করেছিলেন যে, তারা মঙ্গলগ্রহে প্রবাহমান পানির ধারার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন। এর পর পরই বিজ্ঞানীরা আরও ধারণা করেন যে, যেহেতু মঙ্গলে পানির খোঁজ পাওয়া গেছে, সেহেতু সেখানে প্রাণের অস্তিত্বও হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু এই সকল জল্পনাকল্পনায় ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রেরই আরেকটি সংস্থা ইউএস জিওগ্রাফিকাল সার্ভের গবেষকরা।
গুডউড ফেস্টিভ্যালে দূষণ খাওয়ার গাড়িটি দেখানো হয়েছে
পিএসএ: এই অ্যাপল পণ্যগুলিকে চিকিত্সা ডিভাইস থেকে 'নিরাপদ দূরত্ব' রাখুন ARTICLE TODAY
মঙ্গলগ্রহে পানি পাওয়ার খবরটি বিজ্ঞানীদের ভুল ছিল? ARTICLE TODAY
মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটার যুক্ত করবে ইলন মাস্কের নিউরালিংক ARTICLE TODAY
মাইক্রোসফ্ট মহামারী কর্মের জন্য কর্মীদের $ 1,500 প্রদান করে
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সত্যি-মিথ্যা নির্ণয়? ARTICLE TODAY
তাদের মতে, নাসার দাবি করা ওই প্রবাহ আসলে পানির না, বরং ওগুলোতে আছে প্রবাহমান শুষ্ক বালু। মঙ্গলগ্রহে পানি থাকার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা অধিক পরিমাণে আশাবাদী হয়ে ওঠেন মূলত ২০১১ সাল থেকে যখন মঙ্গলের কক্ষপথে প্রেরিত নাসার মহাকাশযান মার্স রিকনিসেন্স অর্বিটার/Mars Reconnaissance Orbiter (MRO) সেখানে প্রবাহমান পানির মত দেখতে কিছু খাঁজের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠায়। অত্যন্ত শীতল আবহাওয়ার মঙ্গলগ্রহে সেসব খাঁজ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আচরণেও পরিবর্তিত হত, যা দেখে নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে পানি এবং সেই পানিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু, ইউএস জিওগ্রাফিকাল সার্ভের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা ওই খাঁজগুলোর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন যা আসলে পানি প্রবাহে থাকেনা, বরং ওগুলো শুষ্ক বালু ও ধূলিকণার প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মঙ্গলগ্রহের পাহাড়ের খাড়া ঢাল থেকে যেভাবে প্রবাহগুলো উপর থেকে নিচের দিকে নেমে আসছিল তা দেখে প্রথম দৃষ্টিতে এগুলোকে পানিযুক্ত বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, এই প্রবাহগুলো শুধুমাত্র ২৭ ডিগ্রি কিংবা আরো খাড়া ঢাল থেকেই প্রবাহিত হয়, কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম ঢালে এই প্রবাহগুলো দেখা যায়না, যদিও পানির প্রবাহের ক্ষেত্রে শেষোক্ত বৈশিষ্ট্যটি কিছুটা খটকা লাগে। আর এরকম দেড়শোর বেশি রেখার বিশ্লেষণ করে এখন ইউএসজিএস এর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন ওই প্রবাহগুলোর মধ্যে পানি থাকার সম্ভাবনা খুবই কম- অন্তত নাসার পূর্ববর্তী শক্তিশালী দাবীর চেয়ে কম তো বটেই।
তবে এখানেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তারা ধারণা করছেন, মঙ্গলগ্রহের অন্য কোনো অংশে হয়ত পানির অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। আর তা থেকে সেখানে এলিয়েনও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এসব কিছুই এখন পর্যন্ত ধারণা মাত্র। পরবর্তী আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে এই সাইটে সাবস্ক্রাইব করে আমার সাথেই থাকুন!

Follow Us